মোটরসাইকেলের মাইলেজ কি ? মোটরসাইকেলের মাইলেজ বৃদ্ধির উপায় ও মাইলেজ কমার কারন জেনে নিন !

মোটরসাইকেলের মাইলেজ কি ? মোটরসাইকেলের মাইলেজ বৃদ্ধির উপায় ও মাইলেজ কমার কারন জেনে নিন !

মোটরসাইকেলের মাইলেজ কি ? মোটরসাইকেলের মাইলেজ বৃদ্ধির উপায় ও মাইলেজ কমার কারন জেনে নিন !

মাইলেজ বৃদ্ধির উপায় ও মাইলেজ কমার কারন জেনে নিন -


আপনি যখন কোন মোটরসাইকেল ক্রয় করতে যান তখন আপনার মাথায় সব সময় প্রায় বাইকের মাইলেজ কথা চিন্তা করেন । কারন অতিরিক্ত মাইলেজের একটা বাইক খরচ বহন করতে অনেক কষ্টসাধ্য হতে পারে । মাইলেজের উপর ডিপেন্ড করেই বাইক ক্রয় করা ও চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। সকারণ , একটা বাইকের কম মাইলেজ মানেই বাইকটির রানিং খরচ অনেক বেশি ।একেক ব্র্যান্ডের বাইকের মাইলেজ খরচ একেক রকম । অনেক সময় দেখা যায়, ভালো ব্র্যান্ডের বাইকের মাইলেজ খরচ একটু বেশী হয়ে থাকে । বাইকের সর্বোচ্চ মাইলেজ পাওয়ার উপরে যেমন বাইকের ওপর নির্ভর করে তেমনি বাইকের মালিকের যত্নের ওপর ও নির্ভর করে মাইলেজ । সঠিক সময় বাইকের টিউনিং এবং সার্ভিসিং না করালে মাইলেজ মনের মত হবে না । বাইকের ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য সরাসরি মাইলেজের ওপর প্রভাব ফেলে।


এখন গোপন একটি প্রশ্ন হচ্ছে , কিভাবে আপনার প্রিয় মোটরসাইকেল এর মাইলেজ বাড়ানো যায় ? এখন আপনাদের কাছে সেই মাইলেজ বাড়ানোর গোপন টিপসটি শেয়ার করবো -


আমাদের প্রথমত জানতে হবে কেন আমাদের শখের বাইকের মাইলেজ কমে যাচ্ছে সেই বিষয়টা। এখন আপনি নিশ্চয় ভাববেন আপনার শখের বাইকটি নিয়ে মেকানিকের কাছে গিয়ে কার্বুরেটরের তেলের রেঞ্জ কমিয়ে দিবেন । কার্বুরেটর থেকে তেলের রেঞ্জ কমিয়ে দেওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো পরিক্ষা করে নিতে পারেন -

১. মোটরসাইকেল এর চাকা সঠিকভাবে ঘুরছে কিনা পরিক্ষা করুন । প্রায় সময়ই ব্রেক অতিরিক্ত টাইট থাকার কারনে চাকা জ্যাম হয়ে থাকে যার কারনে চাকা সঠিক ভাবে ঘুরতে চাই না । 
আবার মাঝেমধ্যে চাকার বেয়ারিং ভেঙ্গে গেলেও চাকা জ্যাম হয়ে থাকে যার ফলে চাকা কম ঘুরে ।

২. দুর্বল পিস্টনের রিঙ্গের কারনে অনেক সময় বাইকের মাইলেজ কমে যায় । আপনার শখের বাইকে  সমস্যা থাকলে পিস্টন চেম্বার এ ইঞ্জিন অয়েল চলে আসে আর পেট্রোলের দাহ্যগুন কমিয়ে দেয় যার ফলে ইঞ্জিন এর শক্তি কমে যায় এবং মাইলেজের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে এবং মাইলেজ কমে যায় ।

৩. বাইকে মাইলেজ কমিয়ে দেওয়ার একটি বড় কারন হচ্ছে ভালভ ক্লিয়ারেন্স শক্তি । মাত্রাতিরিক্ত ভালভ টাইট দেওয়ার ফলে ইঞ্জিন এর শক্তি কমে যায় ঠিকই , বেশী প্রভাব পরে টাইমিং চেইনের ওপর । ইঞ্জিন এর মধ্যকারের ফলে ফ্রিকশন বেড়ে যায় এবং ইঞ্জিন এর সহজভাবে ঘুরতে বাঁধার সৃষ্টি হয় । বাইকের কার্যক্ষমতা ও মাইলেজ ততটা বৃদ্ধি পাবে যতটা ভালভ নিখুঁত হবে ।

৪. কার্বুরেটর এবং কার্বুরেটরের সেটিং স্ক্রু অনেক নরম হয়ে থাকে । কার্বুরেটর অনভিজ্ঞ মেকানিক দ্বারা টিউন করলে বাইকের মাইলেজ কমে যায় । তাই অবিজ্ঞ  মেকানিক দ্বারা কার্বুরেটর টিউন করাবেন ।

৫. ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল এবং সঠিক মাপের চাকা ব্যাবহার না করলে মাইলেজ কমে যায় ।মোটরসাইকেল ক্রয় করার পর নতুন অবস্থাতে একটু কম মাইলেজই পাওয়া যায় , ১৫০০ - ২০০০ কিলোমিটার চালনার পর ৩ - ৪ বার সার্ভেসিং করলে আস্তে আস্তে মাইলেজ বাড়তে থাকে ।



মাইলেজ বৃদ্ধির গোপন কয়েকটি টিপস মনে রাখবেন -


১. নিয়মিত কার্বুরেটর পরিষ্কার রাখতে হবে কারন ময়লা জমে ফ্লট বল নিডল জ্যাম হয়ে থাকে । এর ফলে মাইলেজ কমে যায় এবং জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পায় । কার্বুরেটর এ যেন ধুলোবালি না জমে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।

২. ভালভ অপরিষ্কার থাকলে এয়ার ফিলটার সমস্যা হয় যার ফলে ইঞ্জিন বেশী জ্বালানি খরচ করে থাকে ।

৩. বাইকের গতি বজায় রেখে গিয়ার চেঞ্জ করলে মাইলেজ বৃদ্ধি পায় ।

৪. বাইকটি স্টার্ট দেওয়ার পরে প্রথম ৪০০ মিটার এ অধিক গতি উঠাবেন না প্রথমে গতি কম উঠালে মাইলেজ বৃদ্ধি পাবে ।

৫. সঠিক নিয়মে ক্লাচ এবং ব্রেক ব্যাবহার করলে জ্বালানি সাশ্রয় হয় ।

৬. ট্রাফিক সিগন্যাল এ পরলে / প্রচুর জ্যাম পরলে বাইকের স্টার্ট বন্ধ করে রাখুন ।

৭. উন্নতমান ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যাবহার করুন ।

৮. ব্র্যান্ডের প্লাগ ব্যাবহার করেন ।

উপরের বিষয় গুলো মেনে চললে মাইলেজ বৃদ্ধি এবং বাইকের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকবে । আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার এবং কমেন্ট করবেন । ধন্যবাদ
Previous Post
First

post written by:

Bikeinfobd is a Motorcycle Website Which is Provide all Motorcycle company information of the World such as Motorcycle Specifications, Reviews, Top Speed Test Videos, Motorcycle Pictures, Mileage Test information, and Provides All Motorcycle brand information of the Whole World.

1 comment:

  1. gooood কিন্তু বাইক বন্ধ করে বারবার স্টাট দিলে তেল ⛽ খরচ বেশি হবে না

    ReplyDelete